নভো নরডিস্ক কোম্পানির ডায়াবেটিসের ওষুধ ওজেম্পিক ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে ওষুধটির নকল ব্যাচ ছড়িয়ে পড়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটি জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যে এবং ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ওজেমপিক ওষুধের তিনটি ভুয়া ব্যাচ শনাক্ত করা হয়েছে। তবে নকল ওজেমপিক ওষুধ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এবারই প্রথমবারের মতো একটি অফিশিয়াল সতর্কতা জারি করা হলো।
সতর্ক বার্তায় নকল ওজেমপিক ওষুধ স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ অবস্থায় অনলাইন কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিবর্তে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধটির উৎস অনুসন্ধান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ওজেমপিকের সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড (semaglutide) টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আবার এটির সাপ্তাহিক ইনজেকশন মানুষের মাঝে খাওয়ার তাগিদ কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস নেই এমন অনেক মানুষও ওজন কমাতে ওষুধটি ব্যবহার করে আসছেন।
এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে বিপুল চাহিদার মুখে ওষুধটির প্রকৃত গ্রাহক অর্থাৎ টাইপ-টু ডায়াবেটিসের রোগীরাই সংকটের মধ্যে পড়েছে। পাশাপাশি বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে এর নকল ওষুধও বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, তারা ২০২২ সাল থেকেই সারা বিশ্বে ওজেমপিকের ক্রমবর্ধমান প্রতিবেদনগুলোর ওপর নজরদারি করছে। ওষুধটির বিষয়ে সংস্থাটির সহাকারী মহাপরিচালক ইউকিকো নাকাতানি বলেছেন, ‘আমরা পরামর্শ দিচ্ছি—পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এবং জনসাধারণকে এই নকল ওষুধের ব্যাচগুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’
কিছু নকল ইনজেকশনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপাদান সেমাগ্লুটাইড একেবারেই নাও থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। বলা হয়েছে, ‘এই ভেজাল পণ্যগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।’
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা নকল ওজেমপিকের একটি চালান জব্দ করেছিল। এগুলো অস্ট্রিয়া এবং জার্মানির বৈধ সরবরাহকারীদের মাধ্যমেই বাজারে প্রবেশ করেছিল।
জেএন/এমআর