কোরবানির ঈদের আগে থেকে মুরগির দাম ছিলো বাড়তি। তবে গতকাল মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। বিভিন্ন বাজারে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
রোববার (২৩ জুন) নগরের কাজীর দেউড়ি, রিয়াজউদ্দিন বাজার, বহদ্দারহাটসহ বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, দুদিন আগে বৃহস্পতিবার ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে কোরবানির আগে গেল ১৫ জুন ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
দাম বৃদ্ধির বিষয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মিরাজ মিয়া বলেন, ঈদের পর দাম কিছুটা বাড়তি ছিল। আমরা তো খামারিদের কাছ থেকে কিনি।
তাদের কাছে দাম বাড়লে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে আজ (রোববার) কিছুটা কমেছে। ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এই বিষয়ে খামারিরা বলেছেন, ঈদের পরপর আমরা ১৬২ টাকা পাইকারি দরে সরবরাহ দিয়েছিলাম। আগে অবশ্য আরও কম ছিল, তবে বেশ কিছু মুরগি মারা গেছে আমাদের, এতে কিছুটা দাম বেড়ে গেছে।
এখন আমরা ১৫৭ করে দিচ্ছি। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সোনালি ও দেশি মুরগির দাম। গতকাল সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
ঈদের ছুটি শেষে সচল হচ্ছে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। ঈদের দুদিন পর গত বুধবার থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফিরতে শুরু করেছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।
তবে বুধ-বৃহস্পতিবার কিছু ব্যবসায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও এখনও পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়নি। আজ রবিবার ব্যাংক খুললে খাতুনগঞ্জে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
জেএন/হিমেল/পিআর