টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচে জিততেই হতো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে এমনভাবে উড়িয়ে দেবে ইংল্যান্ড, গ্রুপ পর্বের খেলা দেখার পর সেটি হয়তো অনেকের চিন্তায় আসেনি। আজ বার্বাডোজে সেটিই করেছে ইংলিশরা।
এদিন জস বাটলারের একার ঝড়েই উড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৬২ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতে সবার আগে সেমিফাইনালে চলে গেছে ইংলিশরা। অথচ সুপার এইটে শেষ দল হিসেবে কোনো রকমে কোয়ালিফাই করেছিল তারা।
কেনসিংটন ওভালে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বাটলার। যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের উপর স্টিমরোলার চালিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ৩৮ বলে ৮৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তার সঙ্গে ২১ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ফিল সল্ট। এতেই মাত্র ৯.৪ ওভারে জয় নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১১৫ রানে অলআউট করে দেয় ইংল্যান্ড। ১৯তম ওভারে হ্যাটট্রিক করেছেন ক্রিস জর্ডান। চলতি বিশ্বকাপের তৃতীয় হ্যাটট্রিক এটি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। রিসি টপলির বলে ফিল সল্টের হাতে ক্যাচ হন আন্দ্রিয়াস গাউস ( ৫ বলে ৮)। এরপর ২৭ বলে ৩৪ রানের ধীরগতির জুটি করেন নিতিশ কুমার ও স্টিভেন টেইলর। স্যাম কারেনের বলে মঈন আলির হাতে ক্যাচ হয়ে ১২ রানে (১৩ বলে) থেমে যান টেইলর।
আদিল রশিদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে অধিনায়ক অ্যারন জোনস করেন ১৬ বলে ১০ রান। ব্যাট টু ব্যাট বোলিংয়ে এসে পিচে সেট হওয়া ব্যাটার নিতিশকেও (২৪ বলে ৩০) বোল্ড করেন রশিদ।
কোরি অ্যান্ডারসন করেন ২৮ বলে ২৯ রান। হ্যারি ব্রুকের হাতে ক্যাচ হয়ে ক্রিস জর্ডানের প্রথম শিকার হন তিনি। হারমিত সিং করেন ১৭ বলে ২১ রান। ১৯তম ওভার হ্যাটট্রিক করেন জর্ডান। নিচের দিকে ৩ ব্যাটার ফেরত যান ০ রানে। আর একজন অপরাজিত থাকলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ফলে ১১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
ক্রিস জর্ডান ১০ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার করেন আদিল রশিদ ও স্যাম কারেন। ১টি করে উইকেট পান লিয়াম লিভিংস্টোন ও রিসি টপলি।
জেএন/এমআর