একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এবারের ইশতেহারে ২১টি অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইশতেহারের বিস্তারিত তুলে ধরেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামে দরিদ্র মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।
ইশতেহারে দুটি বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ শিরোনামে অঙ্গীকারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি- এই শিরোনামে করা অঙ্গীকারে তরুণ ও যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে।
ইশতেহারে গণতন্ত্র, নির্বাচন ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ২১টি অঙ্গীকার হলো-
১. আমার গ্রাম, আমার শহর : প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ
২. তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি: তরুণ যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিকে রূপান্তরিত করা এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা
৩. দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ
৪. নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশু কল্যাণ
৫. পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা
৬. সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূল
৭. মেগা প্রজেক্টগুলোর দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন
৮. গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা
৯. দারিদ্র্য নির্মূল
১০ সকল স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি
১১. সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি
১২. সকলের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা
১৩. সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার
১৪. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
১৫. আধুনিক কৃষিব্যবস্থা- লক্ষ্য যান্ত্রিকীকরণ
১৬. দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন
১৭. জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা
১৮. ব্লু-ইকোনোমি- সমুদ্র সম্পদ উন্নয়ন
১৯. নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা
২০ . প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও অটিজম কল্যাণ
২১. টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ