আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে গেছে পর্তুগালের। যে কারণে কোচ রবার্তো মার্টিনেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে জর্জিয়ার বিপক্ষে একাদশ সাজান। তার এই বেঞ্চের ফুটবলাররা যে জিততে পারবে না, সেটা হয়তো তার ধারণাতেই ছিল না।
টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলতে এসেই নকআউট রাউন্ডে উঠে ইতিহাস রচনা করলো জর্জিয়া। শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে ২-০ ব্যবধানে হারালো দলটি। অথচ কে ভেবেছিল এই দলটা পর্তুগালের মতো ইউরোজয়ী দলকে হারাবে! পরের রাউন্ডে যেতে শেষ ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছু করার ছিল না জর্জিয়ার। সেটিই তারা করে দেখালো খুব সুনিপুণভাবে।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই রোনালদোদের ছিটকে ফেলেন নাপোলির মিডফিল্ডার কাভিচা কাভারেসখেলিয়া। ডি-বক্সের ভেতর থেকে তার বাঁ-পায়ের শট গোলের নিশানা খুঁজে পায়।
১৯ মিনিটে পর্তুগালের দিয়াগো দালোতের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৩ মিনিটে পালিনহার শটও রুখে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক। ম্যাচের ২৮ মিনিটে ডি-বক্সে রোনালদোর জার্সি টেনে ধরলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। এটি নিয়ে তর্ক করে হলুদকার্ড দেখেন এই আল নাসর তারকা।
প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে জোয়াও ফেলিক্সের দূরপাল্লার শট তালুবন্দি করেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ বাড়ায় রোনালদোরা। ৪৭ মিনিটে দানিলোর শট একটুর জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
৫০ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায জর্জিয়া। তবে এবার সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কাভারেসখেলিয়া। জোরালো শট না করায় বল সহজেই ধরে ফেলেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক।
৫৫ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর লোকোশভিলিকে ফাউল করে জর্জিয়াকে পেনাল্টি উপহার দেন এন্তনিও সিলভা। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মাকুতাদজে। টুর্নামেন্টে ৩ গোল করে সর্বোচ গোলদাতা বনে গেছেন জর্জিয়ান এই তারকা।
৭০ মিনিটে রোনালদোকে বদলি করে গনচালো রামোসকে নামান কোচ। শেষ দিকে কিছু গোলের সুযোগও পেয়েছিল ২০১৬ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের পরিকল্পনাহীনতায় তা গোলের মুখ দেখেনি।
২-০ গোলের অসাধারণ জয়ে তৃতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে উঠলো জর্জিয়া। অন্যদিকে হারলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে গেছে পর্তুগাল।
জেএন/এমআর