গাড়ির পার্টস ও ইলেকট্রিক পণ্য নিয়ে ৩১ বগি বিশিষ্ট একটি মালবাহী ট্রেন (কন্টেইনার) আখাউড়া থেকে চট্টগ্রামের দিকেই আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় ট্রেনটি মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের আওতাধীন আমবাড়িয়া এলাকায় পৌছালে হঠাৎ ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন ট্রেনের গার্ড কুতুব উদ্দিন।
পেছনের বগি থেকেই তিনি ঘটনাটি দেখতে পান। সাথে সাথে ফোন করেন ট্রেনের লোকোমাস্টার মো. শাহাজাহানকে। লোকোমাষ্টার ট্রেনটি থামিয়ে দেন।
এরপর রেলওয়ের কর্মচারীরা ট্রেনে থাকা দুটি ফায়ার স্টোর নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কঠিন সময়ে এসে সবাই তারা বুঝতে পারেন দুটি ফায়ার স্টোরই কোন কাজ করছে না। দুটি আগে থেকেই নষ্ট।
পরে উপায় না দেখে কয়েকজন কর্মকর্তা ৯৯৯ নম্বর ও বড়তাকিয়া স্টেশন মাস্টারের কাছে ঘটনাটি অবহিত করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর ইঞ্জিনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। এতে চট্টগ্রামমুখী ডাউনলাইনে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা এবং ঢাকামুখী আপ লাইনে এক ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
তাছাড়া লাইনে আড়াই ঘণ্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় আমবাড়িয়া লেভেল ক্রসিং বন্ধ হয়ে মিরসরাই-নারায়ণহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পরে সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম শহর থেকে অতিরিক্ত একটি রিলিফ ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি সরিয়ে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বড়তাকিয়া রেলস্টেশন মাস্টার মো. শামসুদৌহা। তিনি বলেন, সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে উভয় লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মিরসরাই ফায়ার স্টেশন সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বড়তাকিয়া স্টেশন মাস্টার থেকে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগার খবর পেয়ে দুটি গাড়ি নিয়ে দমকল টিম ঘটনাস্থলে যায়।
স্থানীয়দের সহযোগীতায় প্রথমে পানিবাহী গাড়ি থেকে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে পাম্প বসিয়ে পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
জেএন/পিআর