যুক্তরাষ্ট্র এবার রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে। আগস্ট মাস শেষে এই অবরোধ কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, ৯০ দিনের মধ্যে মস্কো এ ব্যাপারে সাড়া না দিলে, দ্বিতীয় ধাপে আরো অবরোধ আরোপ হবে।
ব্রিটেনে রাশিয়ার সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তার মেয়ের ওপর মস্কো নার্ভ এজেন্ট (বিষাক্ত গ্যাস) প্রয়োগ করেছে, এটা নিশ্চিত হওয়ার পরই ওয়াশিংটন এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, অবরোধ আরোপের বিষয়টি ক্রেমলিনকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক কর্নেল সার্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়াকে ব্রিটেনের স্যালিসবুরি শহরের একটি পার্কের বেঞ্চে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই ব্রিটেন অভিযোগ করে আসছে, মস্কো হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করেছে। যদিও রাশিয়া এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ব্রিেেটনের এই অভিযোগে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। সেইসঙ্গে রাশিয়ার একশ’ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর রাশিয়ার ওপর এটা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। অবশ্য রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নিয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নুয়ের্ত বলেছেন, তারা নিশ্চিত যে রাশিয়া রাসায়নিক কিংবা জৈবিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
রয়টার্স বলেছে, অবরোধের আওতায় স্পর্শকাতর জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পণ্য পড়তে পারে।
এই অবরোধের ৯০ দিনের মধ্যে রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করা এবং জাতিসংঘ কিংবা অন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তাদের রাসায়নিক কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে নিশ্চয়তা না দেয়, তাহলে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
জয়নিউজ/আরসি