চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম ও স্কুল শিক্ষক মতিন আলীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় তাদের বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মতিন আলীর বড় ভাই মো. টিটু আলী।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার রানিহাটি কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আব্দুস সালাম শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মো. এত্তাজ আলীর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। মতিন আলী রানিহাটি- ফতেপুরের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুস সালামসহ ও তার সঙ্গীরা রানীহাটি কলেজের সামনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে বসে ছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা ককটেলের বিষ্ফোরণসহ গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুস সালাম। এসময় গুলিবিদ্ধ হন মতিন আলী ও তার বড় ভাই মো. টিটু আলী। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হসাপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মতিন আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
হসাপাতলের চিকিৎসক ডা. মিম ইফতেখার জাহান বলেন, ‘রাত ৯টায় মতিন আলীকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তার মাথা ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান বলেন, ‘নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিতেন আব্দুস সালাম। এই বিরোধের জের ধরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
জেএন/এমআর