প্রবল বৃষ্টিতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ছাদ ধসে বেশ কয়েকটি গাড়ির ওপর পড়ায় কমপক্ষে একজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই টার্মিনাল থেকে সকল প্রস্থান স্থগিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে দিল্লি বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদের একটি অংশ গাড়ির ওপর ভেঙে পড়ার পরে কমপক্ষে একজন নিহত ও আরও আটজন আহত হয়েছেন।
দিল্লি বিমানবন্দরের মুখপাত্র বলেছেন, ১ নম্বর টার্মিনাল থেকে সমস্ত প্রস্থান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থার’ অংশ হিসাবে চেক-ইন কাউন্টারগুলোও বন্ধ করা হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দিল্লি ফায়ার সার্ভিসেসকে (ডিএফএস) এই ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় ক্যাবসহ অনেক যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদ ও সাপোর্ট বিমগুলো ভেঙে পড়ার পর পিক-আপ এবং ড্রপ এলাকায় পার্ক করা গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আহত ছয়জনের মধ্যে লোহার বিমে চাপা পড়ে থাকা গাড়ি থেকে একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে দিল্লি বিমানবন্দর বলেছে, বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের পুরোনো প্রস্থান ফোরকোর্টের ছাউনিটির একটি অংশ ‘আজ সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে’ ভেঙে পড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ঘটনায় কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এবং জরুরি কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের সকল ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ করছেন।
এই ঘটনার ফলে, ১ নম্বর টার্মিনাল থেকে সমস্ত প্রস্থান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসাবে চেক-ইন কাউন্টারগুলোও বন্ধ করা হয়েছে।
পরিষেবার এই ব্যাঘাতের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং যেকোনো অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহতদের ইতোমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ধসে পড়া ছাদের ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা চলছে।
দুর্ঘটনার কারণে এক নম্বর টার্মিনাল থেকে সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তার কারণে ‘চেক-ইন’ কাউন্টারগুলোও বন্ধ থাকছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিঞ্জরাপু বলেছেন, তিনি দিল্লি বিমানবন্দরে ছাদ ধসের ঘটনাটি ‘ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছেন এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লিতে। তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার পেলেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের এই রাজধানী শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় পানি জমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জেএন/পিআর