সরবরাহ প্রচুর তবুও চড়া আলু-পেঁয়াজের বাজার

অনলাইন ডেস্ক

বাজারের প্রায় প্রত্যেকটি দোকানেই মিলছে আলু। পেঁয়াজের দোকানগুলোতেও থরে থরে সাজানো আছে পেঁয়াজের বস্তা। তারপরও দাম চড়া। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। মহল্লার কিছু কিছু দোকানে ৭০ টাকা পর্যন্ত আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা। কোনো কোনো দোকানে ১০০ টাকায়।

- Advertisement -

শুক্রবার (১৮ জুন) বন্দর নগরীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

- Advertisement -google news follower

আলু পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা। মাস খানেক আগে ঢাকার খুচরা বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হয় ৫০ টাকার আশপাশের দরে। আজ খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা দরে। তবে এলাকাভিত্তিক ছোট বাজার ও মহল্লায় কিনতে হচ্ছে ৭০ টাকা পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার মৌসুমে দর বেশি থাকায় অনেক কৃষক অপরিপক্ক আলু তুলে বিক্রি করেছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আলু উৎপাদন হয়নি। তাছাড়া উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকও দর বাড়িয়েছেন।

- Advertisement -islamibank

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, আলুর দর বাজারে গত এক মাসে প্রায় ১২ ও এক বছরে ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। সংস্থাটির দৈনিক প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের এ সময় খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা। সে হিসাবে, এক বছরে আলুর দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায় বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পটল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০-৬০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, টমেটো ১৫০ টাকা, শশা ১৫০ টাকা। যা গেল সপ্তাহে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের কিছুটা দাম কমলেও তা ২৫০ টাকার উপরেই বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৪০০ টাকার উপরে দাম ছিল।

এছাড়াও শাকের মধ্যে পাট শাক ১৫-২০, কলমি শাক ১০-১৫, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, পুই শাক ৩০-৪০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭৫ টাকা। যা গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও সোনালি পাকিস্তান জাতের মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। লেয়ার মুরগি লাল ৩০০-৩২০, সাদা ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার উপরে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। যা ঈদের আগে ১৬০ টাকা ছাড়িয়েছিল।

মাছের বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ২০০ টাকার নিচে তেমন কোনো মাছ নেই। সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ২৮০ টাকা থেকে শুরু করে সাইজ ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা। ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকায়।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM