চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে গণপূর্ত ভবনের অভ্যন্তরে ঠিকাদার সমিতির অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে এ হামলার ঘটনায় এক ঠিকাদারসহ দু’জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
হামলায় আহত ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম (৩২) এবং সমিতির অফিসের এক কর্মচারিকে নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নগর পুলিশের উপ কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেছি।
হামলাকারীদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গণপূর্ত বিভাগ ঠিকাদার সমিতির নেতা হাসান মজুমদার শাকিল বলেন, ‘ঠিকাদার সমিতির অফিসে জাহাঙ্গীর বসা ছিলেন। একজন কর্মচারীও ছিলেন, আর কেউ ছিলেন না।
দুপুর একটা থেকে দেড়টার মধ্যে অতর্কিতে পারভেজের লোকজন ঢুকে হামলা শুরু করে। তারা সমিতির অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি জাহাঙ্গীরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। কর্মচারীকেও মারধর করে আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
ঠিকাদার কাজী মাহমুদুল হাসান রনি জানান, এস এম পারভেজের অনুসারী সুমন ও জালালের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। মাসুম, তমাল, রিয়াজ, সায়েম, জিসানসহ আরও কয়েকজন হামলায় অংশ নেয়।
জানা গেছে, কথিত যুবলীগ নেতা এস এম পারভেজ (৩৬) নগরীর আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনির আবুল কাশেমের ছেলে। পারভেজ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন।
পুলিশও জানায়, প্রাথমিক তদন্তে এস এম পারভেজ নামে এক ব্যক্তির পক্ষের লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে কারা হামলা করেছে তার কিছুই জানে না বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত এস এম পারভেজ। বলেন, যাদের আমার অনুসারী বলা হচ্ছে, আমি তাদের কাউকে চিনতেও পারছি না।
জেএন/পিআর