রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা

টানা বর্ষণে ঘুম ভাঙ্গে প্রশাসনের!

ঝুঁকিতে ৫ হাজার পরিবার

দেশজুড়ে ডেস্ক :

বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

- Advertisement -

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে রোববার (৩০ জুন) থেকে রাঙামাটিতে মাঝারি ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় এবং পাহাড়ি এলাকায় ভূমি ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

- Advertisement -google news follower

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং ও সচেতনতা করেই দায় সারছে প্রশাসন। এদিকে পাহাড়ের ঢালে বসবাসরতদের সচেতন করতে গত রোববার রাত থেকে মাইকিং শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ২০১৭ সালে ১২০ ও ২০১৮ সালে ১১ জনের মৃত্যু হয়। এত মৃত্যু পরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি বেড়েছে কয়েকগুণ।

- Advertisement -islamibank

নাগরিক সমাজের দাবি প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসতি বেড়েছে এবং এসব বসতি বন্ধে তেমন কোনো উদ্যোগও চোখে পড়েনি।

রাঙামাটি সদরে ৫ হাজার পরিবার পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকে সোমবার (১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করা হচ্ছে এবং রাঙামাটি শহরে ২৩টিসহ জেলায় মোট ২৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রোববার রাতে শহরের রূপনগর, শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন পাহাড়ের ঢালসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতা করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিব শংকর বসাকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি বিশেষ টীম শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালায়।

এ সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভারী বর্ষণ শুরু হলে নিরাপদ আশ্রয় অথবা নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।

তবে মাইকিং ও সচেতনতা করা হলেও স্থানীয়রা এখন পর্যন্ত কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেননি। শিমুলতলী এলাকার বাসিন্দা মো. হাবিব জানান, আমার বাসা নিরাপদে আছে।

যারা পাহাড়ের ঢালে বসবাস করে তাদের জন্য ঝুঁকি আছে। তবে আমাদের এলাকার পাশে যে আশ্রয়কেন্দ্র আছে সেটি এখনো খুলেনি আর কাউকে যেতেও দেখিনি।

আব্দুল রহিম নামে অপর এক বাসিন্দা অনেকটা ব্যঙ্গ করেই বলেছেন, সারা বছর নিস্ক্রিয় থাকলেও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে অন্তত প্রশাসনের ঘুম ভেঙ্গেছে।

আরেক বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম বলেন, গতকাল সারাদিন ও রাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা বাড়িতেই ছিলাম। কোনো সমস্যা হয়নি। এই বৃষ্টিতে কিছু হবে না। তিনিও অভিযোগ করেন এখনো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়নি।

রূপনগর, শিপুলতলী ও নতুন পাড়ার গ্রাম প্রধান মো. মিঠু জানান, আমাদের এলাকার জন্য বিএম কলেজ ও বেতার আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা যাবে তাদের জন্য সব করার কথা প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।

রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা জানান, পৌর এলাকায় ২৩টি, ৬টি ইউনিয়নে ৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বসবাসকারী তালিকা অনুযায়ী ১ হাজার ৩৬৪ জন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM