দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট অতি বিপজ্জনক হারিকেন বেরিল। লন্ডভন্ড করে দিয়েছে বিভিন্ন এলাকা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রেনাডাইনস দ্বীপের প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গতকাল উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানার পর আরও শক্তিশালী হয়ে ক্যাটাগরি-পাঁচ মাত্রার ঝড়ে রূপ নেয় বেরিল।
তবে পূর্বাভাসকারীরা বলেছেন, বুধবার জ্যামাইকার উপর দিয়ে বা কাছ দিয়ে এবং বৃহস্পতিবার ক্যামান দ্বীপের কাছ থেকে অতিক্রম করার সময় এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক ক্যাটাগরি-চার মাত্রার ঝড়ে পরিণত হবে।
মঙ্গলবার রাতে ঝড়টি জ্যামাইকানের রাজধানী কিংস্টন থেকে প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। সেইসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার।
জ্যামাইকানের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, সকল জ্যামাইকানকে খাবার, ব্যাটারি, মোমবাতি ও পানি মজুত করার জন্য অনুরোধ করছি।
আপনার গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো সুরক্ষিত রাখুন এবং আপনার সম্পত্তিকে বিপন্ন করতে পারে এমন কোনো গাছ বা বস্তু সরিয়ে ফেলুন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, বেরিলের সরাসরি পথ জ্যামাইকা বলে মনে হচ্ছে, ঝড়টি দ্বীপে প্রাণঘাতী বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত বয়ে আনবে।
এনএইচসি-এর পরিচালক মাইকেল ব্রেনান বলেছেন, জ্যামাইকা নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। আশঙ্কা করছি একটি বড় হারিকেন দ্বীপটির কাছাকাছি বা তার উপর দিয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হারিকেনসহ চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো ঘন ঘন ঘটছে এবং এসব আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠছে।
জেএন/পিআর