বিএনপি এখন পরজীবী। তারা শিক্ষক আর কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা ২০ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে আওয়ামী লীগ। বাংলাদশেকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই হবে। শেখ হাসিনার অঙ্গিকার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পুরণ করে ছাড়বো। মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ও সচিব সৎ হলে ওই মন্ত্রনালয়ে দুর্নীতি থাকবে না।
জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে দুর্নীতিবাজরা পালিয়ে যাবে।
বিএনপির নতুন কমিটি সর্ম্পকে তিনি বলেন, নতুন কমিটি ভুয়া, বিএনপি ভুয়া। নতুন কমিটির নতুন কর্মসূচী ভুয়া। আন্দোলন কবে হবে? ঈদের পর, এ বছর না পরের বছর।
দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় আন্দোলন আর হয় না। মরা গাঙে জোয়ার আর আসে না। মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে? বিএনপির হাত, আন্দোলনের হাত ভেঙে গেছে। এখন পরনির্ভর। এখন তারা করছে পরনিন্দা, গীবত।
তিনি আরো বলেন, আজই দুপুর বেলা শিক্ষকদের আন্দোলন এবং কোটা আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। কোটা আন্দোলন আগেও ছিল। এখনও আছে। তাদের সাথে ভর করে আন্দোলন করছে বিএনপি। পরনির্ভর হলে আন্দোলন হয়? তারা ভয় দেখায় ভারত নিয়ে। তারা বলে, বাংলাদশে ইন্ডিয়া হয়ে গেলো। তারা বলে, শেখ হাসনা ইন্ডিয়া গেলে কিছুই আনতে পারেন না। ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। তাদের সাথে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি ছিল বলে ছিটমহল ও সীমান্ত সমস্যা সমাধান হয়েছে। গঙ্গা নদীর পানি আমরা বুঝে পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির মনের জোর কমে গেছে। তাই বেড়েছে গলার জোর। শক্তি যত কমে মুখের বিষ তত উগ্র হয়ে ওঠে। বিএনপির মুখে কোনো লাগাম নেই, লাগাম দিয়ে টেনে লাভ নেই। রাজনীতিতে বেপরোয়া চালক বিএনপি কখন কোথায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে কেউ জানে না। বিএনপি চালায় লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে, আকাশপথে। বিএনপির নেতারা এখন তারেক আতঙ্কে আছে, কোন নেতার চাকরি কখন যায়। ফখরুল ইসলামও ভালো নইে।
জেএন/এমআর