অবৈধ সম্পত্তি অনুসন্ধানে দুদকে আর্জি

সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ডিআইজি জামিল!

অপরাধ ডেস্ক :

পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি জামিল হাসানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের নানা অভিযোগ সামনে আসছে।

- Advertisement -

মাত্র কয়েক বছরে বরিশালের উজিরপুরে বিপুল সম্পদ গড়েছেন জামিল। রাজধানীতেও আছে তার দু’টি ফ্ল্যাট। এরইমধ্যে ডিআইজি জামিলকে হাইওয়ে পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।

- Advertisement -google news follower

তার অবৈধ সম্পত্তি অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। বুধবার (৩ জুলাই) দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এডভোকেট মো. জিয়া উদ্দিন এ আবেদন করেন।

এতে বলা হয়েছে, আমি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও একজন সচেতন নাগরিক। মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

- Advertisement -islamibank

গত ২২ জুন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘ডিআইজি জামিল হাসান যেন আরেক ভূস্বামী’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআইজি জামিল হাসান ২০২১ সালে র‌্যাব-৮ এর বরিশালে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে চাকরি করার সময় তিনি গোপালগঞ্জের সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের জমি কিনতে তদারকি করেছেন।

এই অবস্থায় ডিআইজি জামিল হাসানের বিষয়ে বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পত্তি অনুসন্ধানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তার অবৈধ সম্পত্তির বিষয়ে অনুসন্ধান করা আবশ্যক।

চিঠিতে বলা হয়, যথাযথ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআইজি জামিল হাসান রিসোর্ট করার জন্য উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের একটি মাঠই কিনে ফেলেছেন।

সেখানে তিনি একটি রিসোর্ট বানানোর কার্যক্রম শুরু করেছেন। অন্তত ৪০ একর অর্থাৎ ১২০ বিঘার মতো জমি কিনেছেন গত তিন-চার বছরে। আগে এগুলো ছিল ধানি জমি।

বর্তমানে ওই জমির একটা অংশ ভরাট করা হয়েছে। বাকি জমি ভরাটের কাজ চলছে। ভরাট করা জমিতে একটি টিনশেড বানানো হয়েছে। সেখানে মুরগি পালন করেন ওই জমির দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মী। এর পাশেই আছে অন্তত ৩৬ বিঘা জমির উপর গরুর খামার। এর সঙ্গে আছে গরুর হাট, যে হাট থেকে ইজারা নেন তারাই।

তার এসব জমি বরিশালের উজিরপুর উপজেলায়। এর বাইরে ঢাকায় তার আছে দু’টি ফ্ল্যাট, এর একটিতে তার পরিবার বসবাস করে। অন্যটি প্রস্তুত হচ্ছে। গত চার-পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি এই সম্পদ করেছেন।

বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ২০তম ব্যাচে এএসপি হিসেবে জামিল হাসান যোগদান করেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চাকরি করেছেন তিনি। ছিলেন ক্ষমতার সর্বোচ্চ মহলের আশপাশে। চার বছরেরও বেশি সময় তিনি ফরিদপুরের এসপি হিসেবে দাপটের সঙ্গে চাকরি করেছেন।

২০২১ সালে তিনি র‌্যাব-৮ এর (বরিশাল) কমান্ডিং অফিসার হিসেবে চাকরি করার সময় গোপালগঞ্জে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের জমি কেনাতে তদারকি করেছেন।

সে সময়ের পুলিশ প্রধানের বিশ্বস্ত হওয়ার কারণে তার প্রভাব ছিল অনেক বেশি। অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি চরম দুর্ব্যবহার করেছেন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM