চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানা এলাকায় জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া লালখান বাজার আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের কারণ দর্শানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির এক জরুরি সভায় তাঁদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান (৫০) ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য বিশ্বজিৎ চৌধুরী।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে লালখান বাজারের মুনতাসির টাওয়ার নামে এক ভবন থেকে এ দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর তাঁরা জামিন পান।
এদিকে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন জানান, ৩২ আসামিকে আদালতে হাজির করে জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে পাহাড়তলী ক্লাব নামে একটি জুয়ার ক্লাব পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে এই নেতাদের বিরুদ্ধে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ওই ক্লাবে অভিযান চালিয়ে নগদ টাকা, জুয়া খেলার সরঞ্জাম নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতাসহ ৩২ জনকে আটক করে খুলশী থানার পুলিশ।
খুলশী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাশার জানান, লালখান বাজারের মুনতাসির টাওয়ার থেকে ৩২ জনকে আটক করা হয়। তাঁরা সবাই ক্যাসিনো খেলছিলেন।
নগদ টাকা ও জুয়ার আট তাসের বান্ডিলও উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ আইনে মামলা দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় খুলশী থানার পুলিশ।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম বলেন, দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে অথবা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পদে থেকে জুয়ার মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাঁদের সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁদের কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ধরনের কাজ করলে কাউকে ছাড় নয় বলেও সতর্ক করেন এই নেতা।
জেএন/এমআর