চলতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত (ছয় মাসে) মোট ২৫০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন ৩ নারী। ১৪ নারীকে হত্যা করা হয়েছে ধর্ষণের পর। এছাড়া ৫৮ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়কালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, সীমান্তে হত্যা, সাংবাদিক নিপীড়নসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধাপ্রদানের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে।
এ সময় নারীর প্রতি সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যা, পারিবারিক নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
গত ছয় মাসে যৌন হয়রানিকেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৪৬ জন নারী-পুরুষ। যাদের মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন ১১৩ জন নারী ও ৩৩ জন পুরুষ। এর মধ্যে বখাটেদের কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়েছেন ১০১ জন নারী, বখাটেদের উত্পাতকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত হয়েছেন ৩৬ জন নারী। যৌন হয়রানির কারণে এক জন নারী আত্মহত্যা করেছেন।
অন্যদিকে, যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটে কর্তৃক চার জন পুরুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২৬৯ জন নারী। এর মধ্যে ৮৪ জন নারী স্বামী কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন।
তাছাড়া একই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত (ছয় মাসে) মোট ৬৩১ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ২৩৯ শিশু।
এর মধ্যে তিন ছেলে শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ৫০ শিশু। বিভিন্ন সময়ে ৭৭ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বলাৎকারের শিকার হয়েছে ২৩ ছেলে শিশু।
জেএন/পিআর