ম্যাচটা আরও আগে জমিয়ে দিতে পারত ইকুয়েডর। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা গোল করলেও দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল তারা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারলেও ম্যাচের শেষ বাঁশির আগে ১-১ গোলে সমতা করে ফেলে ইকুয়েডর।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার আসরে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট না থাকায় ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানে প্রথম শটই মিস করেন লিওনেল মেসি। পরের দুই শটই ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক লওতারো মার্টিনেজ। মেসির ভুল সামলে নেন তিনি। জমে যাওয়া টাইব্রেকারে শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে জিতে কোপার সেমিফাইনালে উঠে গেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
আজ শুক্রবার টেক্সাসের হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও প্রথম আক্রমণ করে ইকুয়েডর। ম্যাচের পঞ্চাদশ মিনিটে ময়েসেজ কালসেডোর বাড়ানো পাসে জেরেমি সারমিয়েন্তোর রুখে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরক্ষণেই লক্ষ্যভেদ হয় কেন্দ্রি পায়েজের আরেকটি শট।
আর্জেন্টিনা ছন্দ-ছন্দে খেলে প্রথম আক্রমণটা শাণায় ম্যাচের ২৭তম মিনিটে। তবে লাহুয়েল মলিনার ক্রসে হেড দিয়েও জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন এনজো ফার্নান্দেজ। ৩৪তম মিনিটের মাথায় মেসির পাস থেকে শট নিয়েছিলেন এনজো। তবে প্রতিপক্ষের একজন খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে সেটা লক্ষ্যচ্যুত হয়।
অবশেষে ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন মেসি। ডি-বক্সের ভেতরেই মাথা ছুইয়ে সেটার দিক বদলে দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। একদম মোক্ষম জায়গায় বল পেয়ে মাথার আলতো ছোঁয়ায় জাল খুঁজে নেন লিসান্দ্রো। বাকি সময়ে আর গোল না হওয়ায় এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ইকুয়েডর। ম্যাচের ৬২ মিনিটে কর্নার পেয়েছিল ইকুয়েডর। তবে সেটা ঠেকাতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবেই বল লাগে রদ্রিগো ডি পলের হাতে। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সে পেনাল্টিটা নিতে আসেন অভিজ্ঞ এনার ভ্যালেন্সিয়া। পেনাল্টিতে অভিজ্ঞ এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে তিনি ধোঁকাটা দিয়েছেন বটে, কিন্তু বলটা রাখতে পারেননি লক্ষ্যে। বলটা বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফলে গোল হজম করা থেকে রক্ষা পায় আকাশী-সাদারা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। ফলে ম্যাচ গড়ায় ট্রাইবেকারে। সেখানে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসির আর্জেন্টিনা।
জেএন/এমআর