সাতক্ষীরার শ্যামনগরের একটি চিংড়ি ঘেরে কৃষক লীগ নেতা আবুল কাশেমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, এ সময় নিহতের স্ত্রীকে নৌকায় বেঁধে রাখা হয়। ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা নিহতের স্বজন ও পুলিশের।
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে আজ শুক্রবার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। আবুল কাসেম গাবুরা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গাবুরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি ও তাঁর স্বামী আবুল কাশেম বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে মাছের ঘেরে যান।
সেখানে পৌঁছানোর পর দুর্বৃত্তরা মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ডিঙি নৌকার মধ্যে তাঁদের (স্বামী-স্ত্রী) হাত, পা, চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে।
পরে তাঁকে (ফিরোজা বেগম) বেঁধে রেখে আবুল কাশেমকে নৌকা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিংড়ি ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র করে আবুল কাশেমকে প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে বলে নিহতের স্বজনদের ধারণা।
আজ শুক্রবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
জেএন/পিআর