চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার দুই এসআই ও এক এএসআইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন আজিজুল হক নামে একজন শিক্ষক।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৫ এর বিচারক নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে তিনি মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন-সিএমপির খুলশী থানার এসআই সুমিত বড়ুয়া, ইকবাল বিন ইউসুফ, এএসআই এমদাদ, স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর ও ইয়াছিন।
দুদক চট্টগ্রামের পিপি মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, চুরি করার অভিযোগ এনে শিক্ষককে এসি ব্যবসায়ী ও পুলিশ মিলে মারধর করে।
পরে থানা হাজতে নিয়ে রাতভর নির্যাতন করে নগদে এক লাখ টাকা আদায় করেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করলে সকালে একটি খালি চেক দেন এবং শিক্ষক আজিজুল হক থেকে জোরপূর্বক তিনটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন।
ভুক্তভোগী সিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিলেও বিচার না পেয়ে আদালতে মামলাটি করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষক আজিজুল হক জালালাবাদ তালীমুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি গত ৭ এপ্রিল একটি পুরাতন এসি ক্রয় করেন।
এসিটি বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে তার বাসায় না চললে তিনি পরের দিন ফেরত দিয়ে দেন। ফেরত দেওয়ার জন্য নিয়ে গেলে জাহাঙ্গীর ও ইয়াছিন শিক্ষক আজিজুল হককে আসতে বলেন।
তিনি গেলে তাদের দোকান থেকে এসি চুরি হয়েছে দাবি করলে আজিজুল হক যার থেকে এসি নিয়েছেন তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তার সাথে কথা বলার পরও আজিজুল হককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশও মারধর করে টানাহেঁচড়া করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে মারধর করে আড়াই লাখ টাকা দাবি করে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা।
টাকা না দিলে মাদক, ইয়াবাসহ নানা মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তী সময়ে রাতে এক লাখ টাকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে সকালে ছাড়ার আশ্বাস দেয়।
কিন্তু পরের দিন ৮ এপ্রিল সকালে আরও দেড় লাখ টাকার জন্য ফের নির্যাতন করলে খালি চেক দিলে মুক্তি মিলে।
থানা থেকে বের হওয়ার সময় তিনটি খালি স্ট্যাম্পে চোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে এসব ঘটনার বিষয়ে মুখ খুললে মামলা দিয়ে ফাঁসানো এবং ক্রস ফায়ারের ভয় দেখানো হয়।
এরপর গত ১৮ মে পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিলেও বিচার না পেয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
জেএন/পিআর