চট্টগ্রাম মহানগরে নতুন কমিটি অনুমোদন করেছে বিএনপি। দুই সদস্যের সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে, কেন্দ্রের সূচি অনুযায়ী শনিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে করে দলটি। এতে পদপ্রত্যাশীরা সবাই নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিতে বিশাল শোডাউন করেছে।
নগর বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ শেষ হওয়ার পর পদপ্রত্যাশীরা সবাই ছুটে গিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসায়৷ এরপর সেখানে তাদের মধ্যে আলোচনাও হয়।
এক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ‘লন্ডন কানেকশন’ অক্ষুণ্ন থাকলেও ওইপার থেকে চাননি নগর বিএনপির দায়িত্ব আবার শাহাদাত-বক্করের হাতে যাক। চেয়েছেন নগর বিএনপির দায়িত্ব নতুন কেউ আসুক। যার দেখা মিলেছে কমিটি ঘোষণার পরই।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন দিবাগত রাতে হঠাৎ করেই চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃবৃন্দকে দ্রুততম সময়ে নগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের অক্টোবরে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে এসে কেন্দ্রের নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়।
তার আগে ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট ডা. শাহাদাতকে সভাপতি ও আবুল হাশেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়, যা পরের বছর ১০ জুলাই ২৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এরও আগে ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সভাপতি এবং ডা. শাহাদাত হোসেন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নগর বিএনপির।
জেএন/এমআর