বাঁশখালীতে বিএনপি প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর গণসংযোগে হামলা চালিয়েছে বিরোধী গ্রুপের লোকজন। এসময় উপর্যুপুরি গুলিবর্ষণ, লাঠিপেটা ও ইটপাটকেলের আঘাতে বিএনপি প্রার্থীসহ অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় সরল ইউনিয়নের মধ্যম সরল গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাফরুল ইসলামসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা মোশারফ ও শহীদুল্লাহকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক জুবুরিয়া শারমীন বলেন, হাসপাতালে কেউ চিকিৎসা নিতে আসেনি।
বিএনপি প্রার্থী, সাবেক সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ারে ঈর্ষান্বিত হয়ে এ হামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি চারবার সংসদ সদস্য ও একবার প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বাঁশখালীর কারো ক্ষতি করিনি। তাহলে কেন সন্ত্রাসীরা আমার ওপর হামলা করলো? আমি কী দোষ করেছি? আমাকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা রক্তাক্ত করেছে। আমার নেতাকর্মীদের চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। তাদের ওপর সন্ত্রাসীরা গুলিও ছুঁড়েছে।
বাঁশখালীর মহাজোটের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমি আজ সারাদিন বাঁশখালীতে ছিলাম না। আমার অধিকাংশ নেতাকর্মীও বাঁশখালীতে ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স ছিল লালদিঘী মাঠে। ওখানে সবাই উপস্থিত ছিল। বাঁশখালীতে বিএনপি প্রার্থী ও জামায়াত প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ চলছে। পরস্পরের বিরোধ তারা আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। তাছাড়া বিএনপি ও জামায়াত আলাদাভাবে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগের লাভ। তাহলে আওয়ামী লীগ কী স্বার্থে এবং কেন হামলা করবে?
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শুনলাম বিএনপির লিয়াকত গ্রুপ ও জাফরুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে পুরানো বিরোধে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের কেউ কোন হামলা করেনি।
এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বুধবার তাঁর নিজ বাড়ি বৈলছড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এসময় তিনি বাঁশখালীতে লাঙ্গলের গণজোয়ার প্রতিহত করতে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন।
জয়নিউজ/উজ্জল/জুলফিকার