সিলেটে শিক্ষার্থী অভিভাকদের দাবি উপেক্ষা করে বন্যার মধ্যেই শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা।
সোমবার (৯ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বোর্ডের অধীন ৮৭টি কেন্দ্রে শুরু হয় পরীক্ষা। অংশ নিচ্ছেন ৩০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮২ হাজার ৭৯৫ পরীক্ষার্থী।
সিলেট বোর্ডের চার জেলার মধ্যে সিলেট জেলা বন্যা কবলিত। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। ২১৫ টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত ৯ হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে, কেন্দ্রে পানি থাকায় ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে কিছু পরীক্ষাকেন্দ্র। কোথাও প্রবেশের রাস্তায় বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল কমায় নদ নদীর পানি কমলেও এখনো সিলেটে ৩টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৯৪ সেটিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
অভিভাবকদের দাবি, বন্যায় ঘরে পানি চলে আসায় পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারেনি। আরো কিছুদিন সময় পেলে তারা আরেকটু ভালো করতে পারতেন।
যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীক্ষার হলের ভেতরে কোথাও পানি নেই। তাই পরীক্ষায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কেন্দ্রের আশপাশে পানি থাকলেও কোনো কেন্দ্রের মধ্যেই পানি নেই।
এর আগে দ্বিতীয় দফা বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের এইচএসসি, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
জেএন/পিআর