দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষার্থী শাহদাত হোসেন।
শাহাদাত লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের রাজবাড়ির মো. ইব্রাহীম পাটোয়ারীর ছেলে।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করার কারণে সরকারী দলের নেতা-কর্মীরা শাহাদাতকে নানাভাবে হুমকী দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছেন।
শাহাদাত হোসেনসহ একটি চক্র বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে মানহানি করার জন্য লিপ্ত রয়েছেন। এই গ্রুপের অন্যতম প্রধান সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন।
তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, ২০১৯ সাল থেকে অনবরত তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশদ্রোহী ও বিভ্রান্তিমূলক বিভিন্ন লেখা লিখে আসছেন।
২০২৩ সাল থেকে সরকারবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও ভারত বিদ্বেষী সমালোচনা বেশি প্রাধান্য পেতো তার পোস্টগুলোতে।
যুক্তরাজ্যে বসবাস করার কারণে পুলিশ বারবার তার গ্রামের বাড়ি এবং শহরের বাসাতে গিয়েও তার কোনো হদিস পায় নি।
মামলার বাদী তন্ময় ভৌমিক এই প্রতিবেদককে জানায়, পলাতক শাহাদাত হোসেনের নামে সাইবার নিরাপত্তা আইন – ২০২৩ এর অধীনে মামলা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার কারণে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির মেট্রো পূর্ব জোনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার বাদী তন্ময় ভৌমিক নামের এক ব্যক্তি।
তিনি ১৪২(ক)/৫০০/৫০৫(ক)/১১৯ পেনাল কোড ধারা অনুযায়ী মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
শাহাদাত হোসেনের পিতা ইব্রাহীম পাটোয়ারী জানান, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ার কারণে আমার ছেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে নিজের মতামত ব্যাক্ত করে বিভিন্ন লেখালেখি করার অপরাধে সরকারী দলের লোকজন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তখন থেকেই আমাদের পরিবারকে নানা ধরণের হুমকি দিয়ে আসছে অজ্ঞাতানামা লোকজন।
এসব কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে জীবন শঙ্কায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। এছাড়া আমার ছেলে শাহাদাত দেশে ফিরলে তাকে খোলা মাঠে ঝুলিয়ে মারারও হুমকী দেয়।
জেএন/পিআর