২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং ডিজিটাল দেশে রূপান্তর করতে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এআইআইবি ভবিষ্যতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
এআইআইবির প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেইজিংয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় প্রধানমন্ত্রী এমন সহায়তা চান।
চীন সফরের দ্বিতীয় দিনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নদী খনন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করার লক্ষ্যে জলবায়ু সহিষ্ণুতা গড়ে তোলার জন্য এআইআইবির কাছে অর্থ সহায়তা চেয়েছেন।
তার সরকার উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু সহিষ্ণু বাড়িঘর নির্মাণ করছে উল্লেখ করে তিনি এই লক্ষ্যে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে এআইআইবি’র অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক অতীতে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য ঋণের সুদের হার আরও কমানোর জন্য এআইআইবিকে অনুরোধ করেন। জবাবে এআইআইবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্যাংকটি এর আগে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়েছে এবং আবারও অনুরূপ সুবিধা দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে।
এআইআইবি প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ তার ব্যাংকের সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতা। এআইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংকালে অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর