চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে রোগী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ইফতেখার আহমদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগামী ৭ দিনের অনিয়মের বিষয়গুলো সংশোধন করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পরবর্তীতে পরিদর্শন রিপোর্টের আলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে গোলপাহাড় মোড়ের মেট্রো ইমেজিং এন্ড ডায়াগ্নস্টিক সেন্টারকে এন্ডোসকপি সেবা চালু করার প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে অবহিত করে পুনরায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ জুলাই বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে যান।
এ সময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অনুপস্থিতিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-ত্রুটি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে তাদের সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখেন, সেখানে কোনো চিকিৎসক নেই। মন্ত্রী আসার খবরে একজন চিকিৎসক ছুটে এলেও তার ইউনিফর্ম ছিল না।
হাসপাতালের ভেতরে খালি অক্সিজেনের সিলিন্ডার দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
এছাড়া একইদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেট্রো ইমেজিং এন্ড ডায়াগ্নস্টিক সেন্টারে পরিদর্শনে গিয়ে সেখানেও নানা অনিয়ম দেখতে পান।
এন্ডোসকপির ফরমে অ্যানেসস্থেশিয়ালজিস্টের নাম না থাকা, এন্ডোসকপি পরবর্তী রিকভারি কক্ষ না থাকা, প্রশিক্ষিত নার্স ও এন্ডোসকপি টেকনিশিয়ান না থাকা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার দিয়ে এন্ডোসকপি করানো, অক্সিজেনের খালি বোতল সাজিয়ে রাখা এবং বিলের অসামাঞ্জস্যতা দেখতে পান মন্ত্রী।
জেএন/পিআর