কক্সবাজারে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে লায়লা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুই বছরের তাঁর শিশু সম্তানও আহত হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরি পাড়ার পাতাবুনিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত লায়লা বেগম ওই এলাকার বজল আহমেদের স্ত্রী।
নিহত লায়লা বেগমের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বলেন, রান্নাবান্না শেষে আমরা দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ওই সময় হঠাৎ আমার টিনের বাড়ির রান্নাঘরের উপর পাহাড় ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে আমার মায়ের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হয় আমার ছোট ভাই মোহাম্মদ জুনাইদ।
আমাদের আর্তচিৎকারের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মায়ের মরদেহ মাটির ভেতর থেকে তুলে আনেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ছোট ভাইকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে পাহাড় ধসের বিকট শব্দ শুনতে পাই। এসময় ছোট শিশু ও নারীদের চিৎকার শুনে আমরা দ্রুত এগিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই গৃহবধূ লায়লা বেগম মাটির নিচে। পরে আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। এসময় তাঁর শিশু সন্তানকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সদর মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা মোট ৩৩৪ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ভারী বর্ষণে কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার বাজার ও এবিসি ঘোনা এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসে এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হল, কক্সবাজার শহরের এবিসি ঘোনা এলাকার মোহাম্মদ করিমের স্ত্রী জমিলা আক্তার (৩০) এবং সিকদার বাজার এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হাসান (৫)।
জেএন/এমআর