লর্ডসে টেস্ট ম্যাচ মানেই বিশেষ কিছু। কিন্তু ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা এখন আর শুধু বিশেষ শব্দে শেষ করার মতো নয়। কেননা, এটা জিমি অ্যান্ডারসনের ম্যাচ। এই ম্যাচের সবকিছুই অ্যান্ডারসনের জন্য সাজানো মঞ্চ। পারফর্ম করুক কিংবা নাই করুক—তবুও এটি তারই ম্যাচ। এই টেস্ট দিয়েই তো সাদা পোশাকের রঙিন ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানতে যাচ্ছেন ৪২ ছুঁতে যাওয়া এই ইংলিশ পেসার। কিংবদন্তি হয়েই যার সমাপ্তি, তার শেষের সবকিছুতেও আছে বিশেষ বিশেষ ছোঁয়া।
লর্ডস টেস্টে জিমির জন্য বিশেষ একটি জুতা প্রস্তুত করেছে ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী ও বিপণন প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। জুতার বেল্টের ওপর তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুর তারিখটা উল্লেখ করা ঠিক এভাবে, ‘২২-০৫-২০০৩’। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচটা ওইদিনই শুরু করেছিলেন তিনি। লর্ডসে যার শুরু, লর্ডসেই তার শেষ হতে যাচ্ছে। মাঝের এই ২১টি বছরেরও বেশি পথ কে-ই বা জানত এত দীর্ঘ হবে। এত পথ পেরিয়ে যাবেন অ্যান্ডারসন, সেটাও তো ছিল কল্পনাতীত। ইংল্যান্ডের জার্সিতে তিনিই প্রথম ৭০০ উইকেট ছোঁয়া পেসার। তার এই রেকর্ড ভবিষ্যতে কেউ ভাঙতে পারবে কি না, সেটাও সময়ের অপেক্ষা।
মজার ব্যাপার হলো, বিশেষ ওই জুতার বেল্টের ঠিক শেষ দিকে ম্যাচ সংখ্যাটাও উল্লেখ করে দিয়েছে অ্যাডিডাস। ১৮৮তম টেস্ট খেলতে যাওয়া অ্যান্ডারসনের বিশেষ এই জুতায় তার রঙিন ক্যারিয়ারের বর্ণনা এভাবেই করা।
তবে অ্যান্ডারসনের ক্যারিয়ারটা বদলে গেছে ৩০তম জন্মদিনের পর। তারুণ্য যেন তখনই ভর করেছিল জিমির কাঁধে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মাত্র ৫৬ টেস্টেই তখন তিনি শিকার করেন ২৩২ উইকেট। একজন বোলার হিসেবে লাল বলের ক্রিকেটে কতটা সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার গড়ে গেছেন তিনি, সেটা ২১ বছরের বর্ণিলতায় প্রকাশ পায়। সেজন্যই বিশেষ ব্যক্তির সমাপ্তির সময়ে বিশেষ জুতায় ক্যারিয়ার গল্পটাও রঙিন করে আঁকা।
জেএন/এমআর