নাইজেরিয়ায় একটি স্কুলের ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই ওই স্কুলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি স্কুল ধসে পড়ে। দেশটিতে নিযুক্ত রেড ক্রস এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্লেটাও রাজ্যের জোস নর্থ জেলার সেন্ট একাডেমি স্কুলের বেশ কিছু কক্ষ ধসে পড়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে শিক্ষার্থীরা।
উদ্বিগ্ন বাবা-মাকে ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সে সময় ছোট ছোট শিশুরা সাহায্যের জন্য আকুতি জানাচ্ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। ধ্বংসাবশেষের স্তূপের চারপাশে লোকজন ভিড় করে আছেন।
রেড ক্রসের মুখপাত্র নুরুদ্দেন হুসেইন মাগাজি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, দুর্ঘটনায় ২১ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ৬৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে জোস এলাকার দুটি হাসপাতালের মর্গে ১৬টি মরদেহ পাঠানো হয়েছে বলে জানায় এএফপি। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতরা সবাই স্কুলের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় ছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী জানায়, সে ক্লাসে প্রবেশ করার পাঁচ মিনিটের কিছু সময় পরেই প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পায়। এরপরেই তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওই শিক্ষার্থী আরও জানিয়েছে, তারা আরও বেশ কয়েকজন ছিল। তারা স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছিল। সে সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে, ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানায়, দুতলাবিশিষ্ট হাউজিং সেন্ট একাডেমি ধসে পড়ার ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে।
চিকা ওবিওহা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা এএফপিকে জানান, তিনি কমপক্ষে ৮টি মরদেহ দেখেছেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
কী কারণে ওই স্কুলটি ধসে পড়লো তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ওই এলাকায় টানা তিনদিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনিয়ম, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং দুর্নীতির কারণে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ২০২১ সালে নাইজেরিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী লাগোসের ইকোই জেলায় নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন ধসে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়।
এছাড়া ২০২২ সালে লাগোসের ইবুতে-মেটা এলাকায় একটি তিনতলা ভবন ধসে ১০ জন নিহত হয়।
জেএন/পিআর