সাগরে মাছের উৎপাদন ও প্রজনন বাড়াতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে আরও বেশ কয়েকদিন বাকি। আগামী ২৩ জুলাই রাত ১২টার পর উঠবে নিষেধাজ্ঞা।
এই সময়ে দেশের সামুদ্রিক জলসীমানায় সব ধরনের মৎস্য শিকার, পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে তা উপেক্ষা করছে অনেকেই।
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানান কৌশলে জলসীমানায় মাছ শিকার ও পরিবহন অব্যাহত রেখেছে অসাধু কিছু ব্যক্তি। তেমনিই একটি অভিযোগ আসে চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ থানায়।
গোপন সোর্সের তথ্যমতে শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে নগরীর নতুনব্রিজ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে নৌ পুলিমের টিম।
অভিযানে কর্ণফুলী নদীর জলসীমানায় নিষিদ্ধ মাছ পরিবহণের সত্যতা মেলে। সন্দেহজনক ৫টি ট্রাকে তল্লাশী চালালে পাওয়া যায় ককসিটের বক্সের ভেতরে রাখা ৬ হাজার ৯শ কেজি ওজনের প্রায় ৭ টন লইট্রা ও তুল ডানডি স্থানীয় ভাষায় চুলের দাঁড়ি মাছ।
মাছসহ ৫টি ট্রাকই জব্দ করা হয় এবং সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে পরিবহন ও সংরক্ষনের দায়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে সদরঘাট নৌ পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সংঘবদ্ধ একটি চক্র চট্টগ্রাম থেকে অনেকগুলো ট্রাকে সামুদ্রিক মাছ ভর্তি করে বাঁশখালী ও কক্সবাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
গোপনে তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে ৫টি ট্রাকে ৭ টন মাছ জব্দ করে পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরামুল হক। তিনি বলেন, জব্দ করা মাছ গুলো ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে বিভিন্ন মাদ্রাসা-এতিমখানা ও জেল খানার কয়েদীদের জন্য বিতরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পৃথক ৫টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার ১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানালেন ওসি একরামুল হক।
জেএন/পিআর