জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের ১৯টি কোম্পানির ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭টি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছেন আদালত।
তাছাড়াও মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও চার বিঘা জমি ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
এর আগে দুদকের পক্ষে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন এই আবেদন করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর প্রথম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে গাজীপুর ও টঙ্গী সার্কেলে মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী ও তার ভাই এম এ কাইয়্যুম হাওলাদারের নামে ১৩৭.২৮ শতাংশ জমি ও এর ওপর স্থাপিত স্থাপনা।
অবরুদ্ধ হওয়া সম্পদের মধ্যে তার ছেলে আহমেদ তোফিকুর রহমান অর্ণবের বসুন্ধরা এলাকায় তিনটা কার পার্কিং স্পেসসহ ৮ হাজার ৭০ স্কয়ার ফুট স্পেস। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে মতিউর পরিবারের ১৯টা কোম্পানির ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭টি শেয়ার।
গত ১১ জুলাই মতিউর পরিবারের চারটি ফ্ল্যাট ও ২৩৬৭.৭ শতাংশ জমি ক্রোক এবং ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা এবং ২৩টি শেয়ার বাজারের বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।
ক্রোকের আদেশ হওয়া চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডের দ্বিতীয় কলোনির সেলটেক বীথিকা প্রকল্পের টাওয়ার-২-এর ১৩ তলায় ১ হাজার ৮১২ বর্গফুটের চারটি ফ্ল্যাট।
এর আগে গত ৪ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের চারটি ফ্ল্যাট ও ১ হাজার ১৯ শতাংশ জমি দুদকের আবেদনে ক্রোকাদেশ দেন আদালত।
ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে বরিশালের মুলাদি উপজেলায় মতিউরের নামে ১১৪ শতাংশ জমি, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মরজাল ইউনিয়নের মরজাল মৌজায় তার স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে ৫২২.৫২ শতাংশ জমি, তাদের ছেলে আহমেদ তৌফিক অর্ণবের নামে ২৭৫.৮৭৫ শতাংশ জমি, মেয়ে ফারহানা রহমান ইপ্সিতার নামে ১০৬.৫৬ শতাংশ জমি।
চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে বসুন্ধরায় একটি ফ্ল্যাট, শাম্মী আখতার শিভলীর নামে জিগাতলায় একটি ও বসুন্ধরা আবাসিকে একটি এবং ফারহানা রহমান ঈপ্সিতার নামে বসুন্ধরা আবাসিকে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
জেএন/পিআর