টাকা, অস্ত্র দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে একটি পক্ষ। তাদের সবার নামের তালিকা পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে এ কথা জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, অর্থ-অস্ত্র দিয়ে একটি গ্রুপ যেভাবে কাজ করছে একই গ্রুপ গুজব ছড়িয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
যারা গুজব ছড়াচ্ছে ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে তারা অতীতেও ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা তাদের ছাড় দেইনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, যারা রাজনীতিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য কোমলমতি ছাত্রদেরকে ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, রেলের স্লিপার তুলে ফেলছে, মেট্রোরেল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের সবার নাম আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ডিএমপির ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান চালাবে।
ডিবি প্রধান বলেন, কয়েকদিন ধরে সাধারণ ছাত্ররা কোটা বিরোধী আন্দোলন করছিল। সাধারণ ছাত্রদের ক্লাসে যাওয়ার জন্য আদালত নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে একটি গ্রুপ বিভিন্ন জায়াগায় বসে সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়া শুরু করে।
এছাড়াও ওই গ্রুপটি গাড়িতে আগুন, রেল লাইনের স্লিপার তুলে ফেলা, মেট্রোরেল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। সবগুলো বিষয় গোয়েন্দা পুলিশ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেছে।
এই গ্রুপটিই কোটা বিরোধী আন্দোলনকে অন্যদিকে ধাবিত করতে অর্থ-পানি-লাঠি-অস্ত্র সরবরাহ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতেও প্রেসক্লাবে দুটি বাসে আগুন, বিভিন্ন জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে তারা। গাড়িতে আগুন দেওয়া কোমলমতি সাধারণ ছাত্রদের কাজ না।
এ ছাড়া স্বাধীনতা বিরোধী কয়েকটি ছাত্র সংগঠন কয়েকটি জায়গায় মিছিল-সমাবেশ করেছে। আদালতের নির্দেশনা না মেনে কোটা বিরোধী আন্দোলন ভিন্ন দিকে চালানোর অপচেষ্টা চলছে।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিএনপি অফিসে অভিযান চালিয়ে শতাধিকের বেশি ককটেল, পাঁচ বোতল পেট্রোল, ৫০০ লাঠিসোঁটা, সাতটি দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জেএন/পিআর
