দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। তবে নারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, তারা হল ছেড়ে যাবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. অহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এমন নির্দেশনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা, খালেদা জিয়া ও শামসুন নাহার হলের ছাত্রীরা হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
শামসুন নাহার হল প্রভোস্ট এবং চবি প্রক্টর অহিদুল আলমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় কথা কাটাকাটি হয়। তারা হল না ছাড়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানান।
দুপুরে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নারী শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এবং ছেলেদের রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। এরপরই প্রতিবাদ জানাতে হলের সামনে জড়ো হন শত শত নারী শিক্ষার্থী।
চবি প্রক্টর অহিদুল আলম বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা কিছু বলতে পারব না। এখন যারা হলে থাকতে চায় তাদের একটা লিস্ট নিয়ে যাচ্ছি। হলে থাকা না থাকা এটা আবার সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. অহিদুল আলম।
তিনি জানান, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এবং ছেলেদের রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া প্রভোস্টদের সবগুলো রুম সিলগালা করার নির্দেশ দিয়েছে সিন্ডিকেট। শিক্ষার্থীরা যেন ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে পারে সেজন্য দুপুর আড়াইটা থেকে রাত পর্যন্ত নিয়মিত সিডিউলে চলবে শাটল ট্রেন বলে জানান প্রক্টর।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতকাল মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে সারা দেশে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় সারা দেশের স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জেএন/পিআর