কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা বলে জামায়াত-বিএনপি আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের কয়েকজন নিরীহ কর্মীকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনে পরাজিত হয়ে শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুঁজি করে গতকাল সহিংসতা চালিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা আত্মাহুতি দিয়েছেন। আমরা সবাই এক অভিন্ন ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জীবন উৎসর্গ করে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করবো।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ আলীসহ নিহতদের স্মরণে চট্টগ্রামে আয়োজিত গায়েবানা জানাজা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যেগে বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল পৌনে ৬ টায় নগরের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে এ জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আ জ ম নাছির আরও বলেন, যে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রতি সবসময় সহমর্মী-সহানুভূতিতে ছিল। তাদের প্রতি সহমর্মিতা থাকার কারণেই সরকারই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
আমরা শিক্ষার্থীদের সরকার এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধৈর্য ধারণের জন্য আহ্বান জানাই। অনুরোধ করবো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
নামাজ পূর্ববর্তী বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, অপ্রয়োজনীয় ইস্যু নিয়ে জামায়াত-শিবির তাণ্ডব শুরু করেছে। মহরমের পবিত্র মাসকে অপবিত্র করেছে। মনে রাখবেন, ভুল করলে চলবে না।
কোটা এদের বিষয় নয়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ তারা সরকার পতনের আন্দোলনে নেমেছে।
আমাদের পরিকল্পিতভাবে ধীরে-সুস্থে কাজ শুরু করতে হবে। যুদ্ধ শুরু হয়েছে, এই যুদ্ধে ওরা হবে পরাজিত। আমাদের জয় সুনিশ্চিত।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, গতকাল কিভাবে নির্মম নৃশংসভাবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কুপিয়েছে, গুলি করেছে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত, শিবির ও বিএনপি সন্ত্রাসীরা আমাদের ছেলেদেরকে নির্মমভাবে কুপিয়েছে, হাত-পায়ের রগ কেটেছে।
অতীতেও তারা এরকম করেছিলো। ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। শুধু এখনই নয়, ২০১৩-১৪ সালেও বোমা সন্ত্রাস করে তারা পারেনি, এখনো পারবে না। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কর্মী আমরা। তিনি যে নির্দেশ দেবেন সে নির্দেশ অক্ষরে-অক্ষরে পালন করবো আমরা। আপনাদের সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
সাধারণ ছাত্রদের অভিভাবকবৃন্দদের বলতে চাই, আপনাদের নিরীহ ছেলে-মেয়েদের সামনে দিয়ে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা পেছনে দা-কুড়াল এবং অস্ত্র নিয়ে জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
অতীতে জনগণ বরদাস্ত করে নাই, এখনো করবে না। আমরা নেত্রীর নির্দেশ পালন করে অশুভ শক্তি মোকাবিলা করবো, ইনশাআল্লাহ।
গায়েবানা জানাজায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নগর ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/পিআর