চুয়েট প্রশাসনের হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান শিক্ষার্থীদের

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) প্রশাসনের দেওয়া হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিবৃতির বিপরীতে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে হলে অবস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

- Advertisement -

বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

- Advertisement -google news follower

বিবৃতিতে বলা হয়, সারা দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার অদম্য স্বার্থে প্রশাসন কর্তৃক অতর্কিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং হল ভ্যাকেন্টের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাতে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সেই আদেশ বর্জন করছে।

এ ছাড়া চুয়েট ক্যাম্পাস নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত তিনটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।

- Advertisement -islamibank

১. চুয়েট ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, বাম সংগঠন ইত্যাদি) এবং শিক্ষকদের রাজনীতি অবিলম্বে বর্জন করা হলো।
২. ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সব ধরনের ছাত্রবৃত্তিক, শিক্ষকবৃত্তিক, স্টাফভিত্তিক সব রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। যারা এসব কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবে, তাদের সর্বপ্রকারভাবে বর্জন করা হলো।
৩. হলগুলোতে অবৈধভাবে সিট দখল, সিট বহাল, সিট বাতিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। কোনো প্রকার পলিটিকাল রুম কোনো হলে থাকবে না। প্রতিটি হলে সূক্ষ্ম নীতি আলোকে, সমতা বিধানের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সিট পুনরায় বণ্টন হবে।

এ বিষয়ে চুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়। দেশের এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীরা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় বাস কিংবা প্রাঙ্গণেই নিরাপদ নয়, এমতাবস্থায় হল ছাড়ার নির্দেশ দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাবে কোথায়? আর ওদের যদি কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় এর দায়ভারই বা কে নেবে? এজন্য শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রদত্ত হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্তকে বর্জন করলাম।

প্রসঙ্গত, বুধবার রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM