নাগরিকত্বসংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স ২০২৪ সালের পাসপোর্ট ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের স্থান ৯৭তম। আগের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০২তম।
গত বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। কোন দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কত দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (আইএটিএ) তথ্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী পাসপোর্টের এই সূচক তৈরি করে দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স।
বিশ্বের ১৯৯ দেশের সূচকে কিছু কিছু দেশ যৌথ অবস্থান পাওয়ায় এ বছর হেনলি মোট ১০৩টি অবস্থান নির্ধারণ করেছে হ্যানলি।
বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠানটি র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। গত ১৯ বছর ধরে প্রতি তিন মাস অন্তর এই সূচক প্রকাশ করা হয়।
নতুন সূচকে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট হলো সিঙ্গাপুরের। দেশটির পাসপোর্টধারীরা ১৯৫টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন।
সূচকে উন্নতি হলেও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা আগাম ভিসা ছাড়া বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। যা আগে ছিল ৪২টি।
আগাম ভিসা ছাড়া বাংলাদেশিদের ভ্রমণের এই তালিকায় আছে বাহামা, বার্বাডোজ, ভুটান, বলিভিয়া, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, কুক আইল্যান্ড, জিবুতি, ডমিনিকা, ফিজি, গ্রানাডা, গিনি-বিসাউ, হাইতি, জ্যামাইকা, কেনিয়া, কিরিবাতি, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাত, মোজাম্বিক, নেপাল, নুউয়ে, রুয়ান্ডা, সামোয়া, সিচিলিস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, শ্রীলঙ্কা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাউন, গাম্বিয়া, পূর্ব তিমুর, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, টুভালু ও ভানুয়াতু।
এর মধ্যে কিছু দেশ ও অঞ্চলে অন অ্যারাইভাল বা বিমানবন্দরে নামার পর ভিসার সুবিধা পান বাংলাদেশিরা। শ্রীলঙ্কা ও কেনিয়ার ক্ষেত্রে নিতে হবে ই-ভিসা।
জেএন/পিআর