ভারতের মণিপুর, জম্মু ও কাশ্মীর, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং দেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চল ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যেসব এলাকায় নকশালবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে সেখানে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতের বেশ কয়েকটি এলাকায় ইতোমধ্যেই নিজেদের নাগরিককে ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে হালনাগাদ করা এই সতর্কবার্তায় আছে জন্মু-কাশ্মীর এবং মণিপুর রাজ্য।
জন্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে প্রায়শ সংঘর্ষ হচ্ছে স্বাধীনকামী সশস্ত্রগোষ্ঠীর সঙ্গে। অন্যদিকে জাতিগত দাঙ্গায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর এখনো অশান্ত।
সাধারণত ভ্রমণ সংক্রান্ত ঝুঁকির নিরিখে লেবেল ২ তালিকায় রাখা হয়েছে ভারতকে। তবে জম্মু-কাশ্মীর, ভারত-পাক সীমান্ত, মণিপুর এবং মধ্য ও পূর্ব ভারতের কিছু অংশকে লেভেল ৪ তালিকায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া দেশটির সেভেন সিস্টার খ্যাত উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোকে লেভেল ৩ তালিকায় রাখা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- আসাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, সিকিম এবং ত্রিপুরা।
বিদেশী ভ্রমণকারীরদের জন্য ভারতকে নিরাপদ আভাস প্রমাণের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীর এবং মণিপুর নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ সতর্কতায় বড়সড় ধাক্কা খেল মোদি সরকার।
শুধু তাই নয় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের অন্তত ১০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে ভ্রমণ পরিহারের জন্য নিজেদের নাগরিককে সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউজ।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কাশ্মীরে যাবেন না (ব্যতিক্রম পূর্ব লাদাখ এবং লেহ) সন্ত্রাসবাদ এবং নাগরিক সমাজের অস্থিরতার কারণে। সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সশস্ত্র সংর্ঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও সন্ত্রাসবাদের কারণে মধ্য ও পূর্ব ভারত এবং হিংসা ও অপরাধের কারণে মণিপুরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে মার্কিন নাগরিকদের।
ভ্রমণ পিপাসু নাগরিকদের সতর্কতায় মার্কিন নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, ভারতে ক্রমবর্ধমান অপরাধগুলির একটি হল ধর্ষণ।
যৌন নিপীড়নের মতো হিংসাত্মক অপরাধ প্রায়ই ঘটছে পর্যটন স্থান এবং অন্যান্য এলাকায়। দুষ্কৃতিকারীরা কোনো সতর্কতা ছাড়াই আক্রমণ করতে পারে। পর্যটন স্থান, পরিবহণ স্টেশন, বাজার, শপিং মল টার্গেট করতে পারে তারা।
জেএন/পিআর