কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া নারী সাংবাদিক সোনালী আক্তারকে শ্লীলতাহানি ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এর আগে গত শনিবার বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হন সোনালী। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ তার। দুর্বৃত্তরা গ্যাস লাইট জ্বালিয়ে তার গাল আগুনে ঝলসে দিয়েছে। সোনালী নারায়ণগঞ্জের সোজাসাপটা নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নারী সাংবাদিক সোনালী। ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করেছি। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া টিটুর দুই সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিএনপি নেতা ইকবাল ও মামুন মাহমুদ। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে। যদিও ঘটনাস্থল আমাদের এলাকার মধ্যে না। তবে ভুক্তভোগী একজন নারী সাংবাদিক- এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা গুরুত্বসহকারে নিয়ে কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক। একজন সাংবাদিক তার দায়িত্ব পালনকালে এভাবে পাশবিক নির্যাতন করা ঠিক হয় নি।”
টিটুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।
সহিংসতাকারীরা সাংবাদিকদের টার্গেট করার পেছনে কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘পুলিশের মতোই সাংবাদিকরাও তাদের টার্গেট। কারণ পুলিশ আর সাংবাদিকরা যদি না থাকে তাহলে তাদের কাছে অত্যন্ত সহজ রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় আসা। তারা ক্ষমতার লোভে বিভোর।’
জেএন/এমআর