নির্বাচনি মাঠে ঐক্যফ্রন্টের সাথে আছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পক্ষে এলডিপি প্রচারণা চালাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম-১৫) আসনে ঘটেছে ব্যতিক্রমী ঘটনা।
লোহাগাড়া এলডিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দিনরাত ব্যস্ত প্রচারণায়। শুরু থেকে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় সক্রিয় উপজেলা এলডিপি সভাপতি জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল। যদিও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল অলি এ আসনে জয়লাভ করেছিলেন।
এ আসনে এবার ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছেন সাবেক সাংসদ জামায়াতের শামশুল ইসলাম।
লোহাগাড়া এলডিপি সভাপতি জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল জয়নিউজকে জানান, লোহাগাড়ায় জামায়াত-শিবির বিগত প্রত্যেক নির্বাচনে এলডিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ছিলেন। এবার নাগরিক কমিটির ব্যানারে উপজেলা এলডিপির নেতাকর্মীরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। আমাদের সিদ্ধান্ত এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলিকে জানিয়েছি।
উপজেলা সদর ইউনিয়ন এলডিপি সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, সারাদেশে ঐক্য হলেও লোহাগাড়ায় জামায়াতের সাথে এলডিপির ঐক্য হবে না।
তবে এ আসনে সাতকানিয়া এলডিপির অবস্থান সম্পর্কে সাতকানিয়া এলডিপির সভাপতি মাহমুদুল হক জানান, যেহেতু এলডিপি সভাপতি কর্নেল অলি ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে চন্দনাইশ উপজেলায় নির্বাচন করছেন, সেখানে আমরা ব্যস্ত আছি। সাতকানিয়ায় ধানের শীষ বা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে আমরা কাজ করছি না।