ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, প্রশাসনের সব শক্তি প্রয়োগ করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণ বাঁচাতে প্রশাসনের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। যেহেতু পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে নাই, সেই ক্ষেত্রে শিগগিরই খুলছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার চিহ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের হলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাস্টারদা সূর্যসেন ও স্যার এ এফ রহমান হল।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের বিভিন্ন হলের ৩০০টি রুম পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার ২৬ জুলাই সকালে উপাচার্যসহ শিক্ষকদের একটি দল পরিদর্শন করে রোকেয়া হল। এরপর স্যার এ এফ রহমান হল ঘুরে দেখেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, গুলিসহ যা হয়েছে তার কোনটিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছিলো না।
রোকেয়া হলের প্রভোস্টরা ড. নিলুফার পারভীন বলেছেন, আরও বড় ধরনের সহিংসতা এড়াতে সব ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীরাই হলে থাকার সুযোগ পাবেন।
জেএন/পিআর