রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে দেশটির নৌবাহিনী দিবস আজ রোববার (২৮ জুলাই)। এ উপলক্ষে সেনাদের অভিনন্দন জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ।
পরে সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়া, চীন, আলজেরিয়া এবং ভারতের নাবিকদের উদ্দেশে রাশিয়ার নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটন জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করলে রাশিয়াও পশ্চিমা ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরত্বে একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে।
বলেন, ওই পদক্ষেপ নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের মতো ক্ষেপণাস্ত্র সংকট তৈরির ঝুঁকি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
পুতিন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হলে আমরা আর মাঝারি ও স্বল্প-পাল্লার পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন এককভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে অটল থাকব না। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ফের নতুন করে তৈরি হবে। ’
পুতিনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ও আশপাশের দেশগুলোতে স্থানান্তর করছে। যেখান থেকে মাত্র ১০ মিনিটেই হামলা চালানো সম্ভব। তবে রাশিয়াও বসে নেই জানিয়ে পুতিন বলেন, ওয়াশিংটন কখনো মস্কোয় হামলা চালালে সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব দেয়া হবে।
তিনি বলেন, জার্মানিতে ২০২৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির সরকারের ঘোষণা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
যদি তা করা হয় তবে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ও সামরিক স্থাপনা, প্রশাসনিক ও শিল্প কেন্দ্র এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পরবে।
এ অবস্থায় রাশিয়া তাদের স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন আবারও যেকোনো মুহূর্তে শুরু করতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো গত ১০ জুলাই জার্মানিতে দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ২০২৬ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এইসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে তারা। স্নায়ুযুদ্ধের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে আছে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এসএম-৬ এবং বিভিন্ন ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। বর্তমান ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর চেয়ে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা অনেক বেশি দীর্ঘ।
জেএন/পিআর