নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং মোড়ে নির্মাণ হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল হুইল’। চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এমন দৃষ্টিনন্দন চত্বর করার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক। প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হুইলের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানায় চসিক। অন্যদিকে, অর্থনীতি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মুভমেন্ট এবং জাহাজের স্টিয়ারিং, এই তিন সমন্বয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হুইলের ডিজাইন করা হয়েছে।
চসিক সূত্রে জানা যায়, এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হুইল চত্বরটির ডায়া হবে ২০ ফিট এবং উচ্চতা হবে ২৫ ফিট। টেকসই কাজের জন্য চত্বরটির চারপাশে আরসিসি ঢালাই হবে। চাকার ডায়া হবে সাত ফিট। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চট্টগ্রামের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বৈশ্বিক সাজসজ্জা দিয়ে আরো বেশকিছু চত্বর নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে রয়েছে- চকবাজার, লালদিঘি, শাহ আমানত সেতু এলাকা, কাঠগড়, সাগরিকা, নিউমার্কেট/জিপিও, কাজীর দেউড়ি, সিজেকেএস স্কুল এবং নয়া বাজার। এরমধ্যে কিছু কিছু চত্বরের কাজ চলমান রয়েছে, কিছু চত্বরের কাজ শেষ এবং বাকিগুলোর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এসব চত্বর এলাকার সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী অশিকুল ইসলাম বলেন, চসিকের এই গোল চত্বরগুলোর সাথে নগরীর অন্যান্য গোল চত্বরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এখানে চট্টগ্রামের ইতিহাস, সংস্কৃতি, এতিহ্য এবং বৈশ্বিক সাজসজ্জা দিয়ে চত্বর সাজানো হবে। একেকটি চত্বর ওই এলাকাকে কেন্দ্র করে এবং সেটার ইতিহাস ও সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, চসিকের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০টি গোল চত্বর স্থাপনের কথা থাকলেও পরবর্তীতে ১৬ থেকে ১৮টি চত্বর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিটি চত্বর নির্মাণে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হুইলের ডিজাইন করেছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমরান বিন হোসেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এসব বৈশিষ্ট্যকে কেন্দ্র করে মূল এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হুইলটি ডিজাইন করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মুভমেন্ট এবং জাহাজের স্টিয়ারিং এর সমন্বয়ে মূল এই ডিজাইনটি করা হয়েছে।
জেএন/এমআর