কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সদস্য বাড়িয়ে তিনজন করার কথা ভাবা হচ্ছে।’
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনি যে তদন্ত কমিশনের কথা বলছেন, সেটার টিওআর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন চলে গেছে। ২১ জুলাই পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেটার তদন্ত করবে তারা। যেহেতু এর পরিধি, অনুসন্ধান ও তদন্তের পরিসর বেড়ে গেছে, আমরা চিন্তা করছি, যেহেতু তদন্ত কমিশনের একজনই সদস্য, সেটাকে বাড়িয়ে তিনজনের করার সিদ্ধান্ত হয়ত খুবই শিগগিরই নিতে পারি।
এদিকে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা আইনমন্ত্রী বলেছেন, এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে গত ১৬ জুলাই ঢাকায় দুজন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ জুলাই এবং পরবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও প্রাণহানির তদন্তে ১৮ জুলাই এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় ছয়জন নিহত হওয়া এবং সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করবে এই কমিটি। তদন্ত শেষে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারকে প্রতিবেদন দিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগ কমিটির সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে।
জেএন/এমআর