কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বন্ধ হওয়া দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবশেষে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার (৪ আগস্ট) থেকে ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদীর পৌর এলাকা ছাড়া বাকি সব জায়গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, আগামী রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকা ও নরসিংদী পৌর এলাকায় অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধই থাকবে। এই এলাকার বিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কি—না জানতে চাইলে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ক্লাসের সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের রুটিন অনুযায়ী পাঠদান চলবে। তবে সংশ্লিষ্ট জেলার কারফিউর সময় অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষের সময় কমানো কিংবা বাড়ানো যাবে। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্ধারণ করবেন।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যদিও জুলাইয়ের শুরুতেই পেনশন এবং কোটা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেলে পুরোপুরি স্থবিরতা নেমে আসে শিক্ষাব্যবস্থায়। গত ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুর হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে যায় সারা দেশে। একপর্যায়ে ব্যাপক সংঘাতে শিক্ষার্থীসহ ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, আহত হয় কয়েক হাজার মানুষ।
তবে কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে চায় সরকারও। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পর নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় ধাপে ধাপে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
জেএন/এমআর