লেবাননে গত মঙ্গলবার হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ সুখর ও বুধবার গভীর রাতে ইরানের তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকে ইরানের হামলার শঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশটিতে। যার ফলে দেশটিতে বিমান চলাচল বাতিল করেছে সাত এয়ারলাইন্স।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, ডেল্টা, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, লুফথানসা, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স, ব্রাসেলস এয়ারলাইন্স এবং এয়ার ইন্ডিয়া ইসরায়েলে পরবর্তী সব ফ্লাইট বাতিল করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জার্মানির লুফথানসার একটি বিমান ইসরায়েলের তেল আবিবে না গিয়ে সাইপ্রাসের লার্নাকাতে অবতরণ করে। বিমানটির ক্রুরা ইসরায়েলের আকাশ সীমায় প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানানোয় এটি আর তেল আবিবে যায়নি।
চ্যানেল-১২ আরও জানিয়েছে, ফ্লাই দুবাই তাদের কিছু পূর্বনির্ধারিত ফ্লাইটও বাতিল করেছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তেল আবিবের বেন গুরিণ বিমানবন্দরে এখন ৭০ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইসরায়েল ছাড়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ এসেছেন নিজেদের টিকেট ক্যান্সেল করতে। তাদের আশঙ্কা এখন ইসরায়েল ছেড়ে গেলে আগামী কয়েকদিন তারা ফিরতে পারবেন না।
ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েল। এরপর ইরান হুমকি দেয় তারা হামলার প্রতিশোধ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সরাসরি ইসরায়েলে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা ঠিক করতে ফিলিস্তিন, লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইরানি কর্মকর্তারা।
জেএন/এমআর