তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন, উত্তেজনা ও সংঘাত এড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করা হয়েছে।
আজ রোববার (৪ আগস্ট) গণভবনে নিরাপত্তা বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের টানেলে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে ফেসবুক বন্ধ করা হচ্ছে। কাউকে দমানো বা থামানোর জন্য নয়। মানুষের আবেগ নিয়ে খেলছে সহিংসতাকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যেই আজ রোববার ৪ (আগস্ট) দুপুরে আবারও মোবাইলফোনের ইন্টারেনেট সেবা ও ফেসবুক–হোয়াটসঅ্যাপসহ মেটার সব প্ল্যাটফর্মের সেবা বন্ধ আছে।
তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করছেন, দেশের কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি।
আজ রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে গণমাধ্যমকে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমরা কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করিনি। বন্ধের কোনো নির্দেশও দেইনি। কোথাও কোথাও ইন্টারনেটের সমস্যা হচ্ছে। এটা আমাদের নির্দেশনার কারণে নয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল ও ইন্টারনেট পরিচালনার অনেক স্থাপনায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। অনেক জায়গায় হামলা চলছে। ফাইবার ক্যাবল কেটে দেওয়া হচ্ছে।
আজও আমাদের কয়েক জায়গায় আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক এলাকায় কেটে ফেলা হয়েছে। এমন তাণ্ডব চালালে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ সম্ভব নয়।
এদিকে আজ রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ফেসবুকসহ মেটার সব প্ল্যাটফর্ম বন্ধে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়েছে। এরপর থেকে মোবাইলফোন অপারেটরদের ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে।
জেএন/পিআর