শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ উপদেষ্টা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গভবনে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
তিনজন উপদেষ্টা ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তারা হলেন— ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায়।
এর আগে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শপথ নেওয়া ১৩ উপদেষ্টা হলেন—
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ড. আসিফ নজরুল
৩. আদিলুর রহমান খান
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
৭. মো. নাহিদ ইসলাম
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন
১০. ফরিদা আখতার
১১. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১২. নুরজাহান বেগম
১৩. শারমিন মুরশিদ
এর আগে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. ইউনূস।
তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।
ঢাকায় ফিরে প্রথম বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে আমার প্রথম কাজ। কারও ওপর কোনো হামলা যেন না হয়। দেশবাসী যদি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন তাহলে দেশের কোথাও কারও ওপর হামলা হবে না।
তিনি বলেন, আজ আমাদের গৌরবের দিন। যে বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বিজয় দিবস সৃষ্টি করল তরুণেরা সেটাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
যারা এটা সম্ভব করেছে, যে তরুণ সমাজ এটা করেছে; তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। নতুন করে পুনর্জন্ম দিয়েছে দেশকে।
জেএন/পিআর