নগরীর পাঁচলাইশ থেকে অপহৃত মর্মে প্রচারিত এক নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার সময় সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে ওই নারীকে উদ্ধারে সহযোগিতা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জানান, সকাল ১০টায় একটি সিএনজি থেকে একজন নারী চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছেন এবং জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ছাত্ররা সাথে সাথে পিছু নিলেও সিএনজিটিকে ধরা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক মহোদয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় সিসিটিভি পর্যালোচনা করে উক্ত সিএনজি চালককে আটক করার পরে জানা যায়, মেয়েটিকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নামিয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে যায়।
সেখানে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মনোরোগ বিভাগ থেকে উক্ত নারীকে উদ্ধার করেন।
ওই নারীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় তার নাম ফাতিমা জিন্নাত। তার একটি শিশুসন্তান গত চার দিন যাবত শ্বাসকষ্ট সহ অন্যান্য সমস্যায় চট্টগ্রামের পাচলাইশে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল রাত থেকে উক্ত নারী অসংলগ্ন আচরণ করেন এবং উপস্থিত আত্মীয় স্বজনকে আঘাত করা শুরু করেন।
এমতাবস্থায় উক্ত নারীর বাবা ও তার স্বামী আজ সকালে তাকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনোরোগ বিভাগে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে ভিকটিমের স্বামী লোকমান হোসেন বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলেও তিনি যেতে চাচ্ছিলেন না।
হাসপাতালে নেয়ার সময় সিএনজি থেকে জোরে চিৎকার করতে থাকেন এবং আশেপাশের লোকজনের কাছে সাহায্য চাইতে থাকেন। বলতে থাকেন তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে ওই নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।
জেএন/পিআর