নগরের হালিশহর আনন্দবাজার বেড়িবাঁধ ঘেঁষে প্রায় কয়েকশ’ একর জমিতে শীত মৌসুমে কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হচ্ছে। এ সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, শালগম, শিম, ঢেড়শ, বরবটি, লালশাক, পালংশাক প্রভৃতি। তবে এবার দাম কম পাওয়ায় টমেটো চাষে অনীহা প্রকাশ করেছে এলাকার কৃষক।
জানা গেছে, বাগানে টমেটো পরিপক্ব হওয়ার আগেই বিভিন্ন বাজারে ইন্ডিয়ান টমেটো আসায় ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলেই কৃষকের এ অনীহা। শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে আনন্দবাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, কৃষক জমি থেকে উত্তোলন করছে মণে মণে টমেটো। বাগানের একপাশে মাটিতে প্লাস্টিক বিছিয়ে টমেটো স্তূপ করা হচ্ছে। এখান থেকে আবার বাছাই করা হচ্ছে ছোট-বড়-মাঝারি বা পাকা-আধপাকা টমেটো।
বড় বড় টুকরিতে করে ভ্যান ও ট্রাকযোগে বাগান থেকে সরাসরি এই টমেটো নগরের পাহাড়তলী বাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, কাজীর দেউড়ি বাজার, কর্ণফুলী মার্কেট, বহদ্দারহাট, দেওয়ানবাজার, সাবএরিয়া, চকবাজার, নয়াবাজার, ঈদগাঁ কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হবে। তবে সরবরাহ অনুপাতে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষককে।
কৃষক জাহেদ জানান, কয়েকদিন আগের বৃষ্টিতে সব শীতকালীন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তার মধ্যেও সরাসরি বাগান থেকে বেপারিদের কাছে প্রতিকেজি ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে টমেটো।
তিনি আরো বলেন, এ বছর আমি প্রায় বিশ একর জমিতে টমেটো চাষ করেছি। ফলন ভালো হলেও দাম কম হওয়ায় এবার প্রতি একরে আমায় দুই লাখ টাকা করে লোকসান গুণতে হচ্ছে। আমার মত আরও অনেকের পরিণতি একই।
তিনি জানান, ইন্ডিয়ান টমেটো বাজারে না থাকলে আমরা দেশের কৃষক লাভবান হতাম।
এদিকে কর্ণফুলী বাজারের তরকারি ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত ইন্ডিয়ান টমেটো রয়েছে। দামও কম। তাই দেশীয় টমেটোর চাহিদা খুব একটা নেই ।
পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ী ফারুক জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাজারে ইন্ডিয়ান টমেটো বেশি থাকায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত টমেটোর দাম কম।