জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ করলে গোলাগুলি ও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয় বন্দি নিহত হয়েছেন।
একই ঘটনায় আহত হয়েছেন জেলারসহ ১৮ জন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার আবু ফাতাহ।
নিহতরা হলেন- আরমান, রায়হান, শ্যামল, ফজলে রাব্বি বাবু, জসিম, রাহাত। তারা ছয়জনই জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
আহতরা হলেন– জেলার আবু ফাতাহ, কারারক্ষী-রোকনুজ্জামান, সাদেক আলী ও জাহিদুল ইসলাম, ইউসুফ আলী। এদের মধ্যে রোকনুজ্জামান ও ইউসুফ আলী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পরে কয়েদিদের নিজ নিজ সেলে ঢুকানো হয়েছে।
জেলার আবু ফাতাহ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার আগে কারাগারের ভেতরে বন্দিদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ ফেরানোর সময় বন্দিরা কারাগার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি করে কারারক্ষীরা। পরে বিক্ষুব্ধ বন্দিরা কারাগারের ভেতরে দুইটি ভবন, জেলারের কক্ষ ও প্রধান গেইটের ভেতরে গেইট ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করেন।
এসময় বন্দিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে ১৩ কারারক্ষী। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে এবং রাতে কারারক্ষীদের ফেরত দেয় বন্দিরা।
ভোর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী। নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দেয়ালে উঠে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে বন্দিরা মারা গেছে বলে ধারণা করছে জেলার আবু ফাতাহ।
জামালপুরের এই কারাগারে বন্দি রয়েছে ৬৬৯ জন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১০০ জন।
জেএন/পিআর